তৃষ্ণার্ত চাতক
- শারমিন রীমা - নিস্ফল অঞ্জলি ০১-০৫-২০২৪

তৃষ্ণার্ত চাতক
শারমিন রীমা
.
অনিচ্ছা সত্ত্বেও পুরো ভ্যূলোক যদি হয় বৃষ্টিস্নাত,
তবে তৃষ্ণার্ত চাতক কেন থাকবে বঞ্ছিত?
গ্রীষ্মের খরা, রৌদ্রমাখা তপ্ত হাওয়ায় সে অশান্ত,
একফোঁটা জলও নেই তার শরীরে সঞ্চিত!
দূরের মেঘের দিকে তাকিয়ে জলকে খোঁজে অবিরাম,
জল যে চায় না ধরা দিতে চাতকের কাছে,
তৃষ্ণার্ত চাতক তবুও মরীচিকার পিছু ছোটে অবিরাম,
অবশেষে ছায়া ভিন্ন কিছুই দেখে না আশেপাশে।
.
চাতকের আকুতি বোঝেনা কালোমেঘ,
চাতক যত মেঘের কাছে যায় বৃষ্টির খোঁজে,
তত দূর থেকেও দূরে চলে যায় মেঘ,
শতাব্দীর পর শতাব্দী তবুও সে মেঘকেই খোঁজে।
নদী-সমুদ্রের তীরে বসেও জলের জন্য চাতকের দীর্ঘশ্বাস,
বৃষ্টির পবিত্র জলের সুধাই চাই তার,
এটা যে অস্তিত্ব রক্ষার এক আপ্রাণ প্রয়াস!
চাতক কিঞ্চিৎ হলেও মেঘের জলের দাবিদার!
তবে মেঘ তো অস্থির হয়ে তুলার মতো ভাসে,
চাতক যে পাথরের মতো স্থির হয়ে জলের ধ্যানে মগ্নরত,
মেঘের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,চাতকের বাঁচা -মরায় তার কি যায় আসে! 
মেঘের জলের আশায় তবুও চাতক অপেক্ষারত।
.
তাং : ২০--১২--১৫

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।